আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি মোটামোটি সবাই IP (Internet Protocol) Address দেখেছি, কিন্তু এটা সম্পর্কে হয়তো এখনো অনেকেই জানিনা। যেমন, IP কি? আইপি এড্রেস কি? আমরা কেন IP Address ব্যবহার করি? চলুন জেনে নিই ইপি এড্রেস সম্পর্কে।
IP (Internet Protocol) কি?
IP হচ্ছে Internet Protocol এর সংক্ষিপ্ত রূপ।
IP Address কি/আইপি অ্যাড্রেস কী? IP address কাকে বলে?
IP Address হলো Internet Protocol Address। ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত প্রতিটি কম্পিউটারের একটি ঠিকানা থাকে এ ঠিকানাকে বলা হয় আইপি অ্যাড্রেস (IP Address)।
আইপি এড্রেস দিয়ে কি করা যায়?
তথ্য আদান প্রদানে সাধারানত IP Address ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আইপি অ্যাড্রেসের সাহায্যে নেটওয়ার্কভুক্ত লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার পৃথকভাবে সনাক্ত করা সম্ভব হয়। সাধারণ ব্যবহারকারীগণ ইপি এড্রেস এর মাধ্যমে তথ্যবলি গ্রহণ ও প্রেরণ করে থাকেন। আইপি অ্যাড্রেসকে বিভিন্ন ক্যারেক্টারের সাহায্যে চিহ্নিত করা যায়। ক্যারেক্টার ফর্মে আইপি অ্যাড্রেসের নামকে ডোমেইন নেম বলে।
আমরা কেন IP (Internet Protocol) ব্যবহার করি?
ইন্টারনেট প্রটোকল হল একটি সাংখ্যিক লেবেল যা একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক থেকে সংযুক্ত প্রতিটি ডিভাইসের জন্য নির্ধারিত হয়। Network এর মাধ্যমে যোগাযোগ করার জন্য Internet Protocol (IP) Address ব্যবহৃত হয়। আরো সংক্ষেপে বলা যায় একটি IP Address হল একটি Network এর Node বা Host সংযোগ এর Logical Identifier. IP network এ প্রতিটি Host কে একটি নির্দিষ্ট নাম্বার দিয়ে নির্দেশ করা হয় আর এই নাম্বারই হচ্ছে IP (Internet Protocol). IP 32 Bit এর হয়ে থাকে, যাকে ৮ Bit করে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়।
Class or Type of IP
৫ টি ক্লাস নিয়ে IP গঠিত। ক্লাস গুলো হচ্ছেঃ
- Class A
- Class B
- Class C
- Class D
- Class E
আমরা এবার জানবো কিভাবে IP এর ক্লাস গুলো কাজ করে।
Class A
Class A এর IP শুরু হয় 0 থেকে, শেষ হয় 127 এ গিয়ে ।
যেসব IP Address এর প্রথম Bit বাইনারি 0 থেকে শুরু হয় সেগুলো হচ্ছে Class A এর IP. এ ধরনের IP এর ক্ষেত্রে প্রথম 8 Bit নেটওয়ার্ক Bit আর বাকি 24 Bit হচ্ছে Host.
নেটওয়ার্ক Bit যদি Host Bit এর তুলনায় কম হয় তাহলে ধরে নিতে হবে এটা Class A এর IP Address.
উদাহরণঃ 10.0.0.1 থেকে 126.255.255.254
Class B
Class B এর IP শুরু হয় 128 থেকে আর শেষ হয় 191 এ গিয়ে।
এই IP Address এর প্রথম ২ টি Bit এর মান হবে 10. এ ধরনের IP এর ক্ষেত্রে প্রথম 16 Bit হবে নেটওয়ার্ক Bit আর বাকি 16 Bit হবে Host Bit.
যদি নেটওয়ার্ক Bit এর সংখ্যা প্রায় Host এর সমপরিমাণ হয় তাহলে ধরতে হবে এটি Class B এর IP Address.
উদাহরণঃ 128.1.0.1 থেকে 191.255.255.254
Class C
Class C এর IP শুরু হয় 192 থেকে আর শেষ হয় 223 এ গিয়ে।
এই IP Address এর প্রথম ৩ টি Bit এর মান হবে 110. এই ধরনের IP এর ক্ষেত্রে 24 Bit Network আর 8 Bit Host.
যদি নেটওয়ার্ক Bit এর সংখ্যা Host এর তুলনায় বেশি হয় তাহলে Class C এর IP Address সিলেক্ট করতে হবে।
উদাহরণঃ 192.0.1.1 থেকে 223.255.254.254
Class D
এটি বিশেষ ধরনের IP Class যাকে Multicast Network বলা হয়। কোন Host Network এর সকল Router কে খুঁজে বের করার জন্য এই ধরনের IP ব্যবহার করা হয় ।
এই Class এর IP 224 থেকে 239 পর্যন্ত হয়ে থাকে।
উদাহরণঃ 224.0.0.0 থেকে 239.255.255.255
Class E
Class E এর IP গুলো সাধারনত গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, Class E তে IP 240 থেকে শুরু হয়ে 255 তে গিয়ে শেষ হয়।
উদাহরণঃ 240.0.0.0 থেকে 254.255.255.254
IP Address-এর ভার্সন
আইপি অ্যাড্রেসের দুইটি ভার্সন IPV4 ও IPV6 চালু আছে।
IPv4:
IPv4 হচ্ছে Internet Protocol Version 4 এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি হচ্ছে Internet Protocol এর ৪র্থ সংস্করণ এবং Standard Internetworking পদ্ধতির মূল প্রোটকল।
১৯৮৩ সালে IPv4 এর প্রথম সংস্করনের জন্য ARPANET(Advanced Research Projects Agency Network ) কর্তৃক এটি তৈরি করা হয়। IPv4 হল ৩২ বিট এর অ্যাড্রেস স্পেস যার মাধ্যমে প্রায় ৫ বিলিয়ন অ্যাড্রেস ব্যবহার করা সম্ভব। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে খুব অল্প সময়ের পরিবর্তনে অসংখ্য নেটওয়ার্ক ডিভাইস যুক্ত হচ্ছে ইন্টারনেট এর সাথে আর প্রত্যেকটি ডিভাইস এর জন্য একটি করে IP Address ব্যবহার হয়। নেটওয়ার্ক গবেষক দের মতে IPv4 প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে। Internet Assigned Numbers Authority (IANA) একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করেন যার নামকরন করা হয় IPv6 (Internet Protocol Version 6). আমরা বর্তমানে আমাদের মোবাইল কম্পিউটার এ যে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছি সেগুলো ও IPv4 এর নেটওয়ার্ক।
IPv4 Addressing
IPv6:
IPv6 হল ১২৮ বিট এর একটি স্পেস যা প্রায় 340 Undecillion (Undecillion মানে ৩৪০ এর পর আরো ৩৬ টি ০) অ্যাড্রেস প্রধান করে। এরই মধ্যে দিয়ে অনেক জায়গায় IPv6 এর ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে। IPv4 থেকে IPv6 এ রুপান্তরের ফলে ইন্টারনেট এ উভয় Protocol ব্যবহার হচ্ছে। আর এই প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য Internet Engineering Task Force (IETF) কয়েকটি সিস্টেম তৈরি করেছে।
সিস্টেম গুলো হচ্ছেঃ
- Dual Stack
- Tunneling
- Translation
Dual Stack
Dual Stack হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোন একটি নেটওয়ার্কে একই সাথে IPv4 ও IPv6 Protocol ব্যবহার করা যায়।
Tunneling
Tunneling হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যেখানে IPv4 নেটওয়ার্ক এর মধ্য দিয়ে IPv6 এর প্যাকেট সমূহ চলাচল করতে পারে।
Translation
এই পদ্ধতিতে একটি IPv4 ও IPv6 Protocol যুক্ত ডিভাইস এর মধ্যে যোগাযোগের জন্য NAT64 নামক একটি Translation পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। NAT64 এ IPv4 এ্যাড্রেস থেকে IPv6 এ্যাড্রেসে এবং একটি IPv6 এ্যাড্রেস থেকে IPv4 এ্যাড্রেসে প্যাকেটসমূহকে ট্রান্সলেট করা হয়।
নিজের IP address বের করার নিয়ম কি ?
আমরা ওপরে, IP address এর গুরুত্ব এবং কেন আইপি এড্রেস ব্যবহার করা হয় বিষয়টা বুঝলাম।
এখন, আমাদের জন্য এটা জেনে নেওয়াটা জরুরি যে, নিজের কম্পিউটার, মোবাইল বা ল্যাপটপের IP address কিভাবে বের করবো ?
তবে, নিজের IP address খুঁজে বের করার প্রক্রিয়াটা কিন্তু অনেক সহজ এবং সরল।
চলুন, নিচে জেনেনেই।
ইন্টারনেট প্রোটোকল এড্রেস জানার উপায় আমার হিসেবে দুটি বিশেষ মাধ্যমে করা যেতে পারে।
- Internet search এর মাধ্যমে।
- Windows command prompt এর মাধ্যমে।
Internet search করে আইপি এড্রেস কিভাবে খুজবেন ?
নিচে আমি ৩ টি প্রক্রিয়া বলে দিচ্ছি, যেকোনো ডিভাইস এর আইপি খুঁজে বের করার।
প্রথম প্রক্রিয়া
Step ১:
আপনি যেই device এর আইপি এড্রেস জানার চেষ্টা করছেন, সেই ডিভাইসে যেকোনো একটি “web browser” ওপেন করুন।
Step ২:
এখন, আপনি web browser থেকে “Google.com” টাইপ করে গুগল সার্চ এর ওয়েবসাইটে চলে যান।
Step ৩:
Google search এ আপনার একটি বাক্য লিখে সার্চ করতে হবে।
এবং, শব্দটি হলো “what is my IP“.
এবার, গুগল আপনাকে আপনার ব্যবহার করা device এর “public IP” দেখিয়ে দিবে।
এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করে, আপনি আপনার computer, mobile বা laptop এর “public IP address” জেনেনিতে পারবেন।
দ্বিতীয় প্রক্রিয়া
Step ১:
যেই computer বা মোবাইলের আইপির তথ্য জানার চেষ্টা করছেন, সেই ডিভাইস থেকে একটি “Web browser” ওপেন করুন।
Step ২:
এখন, একটি ওয়েবসাইট “whatismyipaddress.com” এ আপনার যেতে হবে।
Step ৩:
ওয়েবসাইটে যাওয়ার সাথে সাথেই আপনাকে আপনার IP address এর সাথে জড়িত সম্পূর্ণ তথ্য দেখিয়ে দেওয়া হবে।
যেমন,
- আপনার public IP address.
- IPS (কোন কোম্পানির ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন).
- Region (কোন জায়গায় আপনার ডিভাইস রয়েছে).
- Country (আইপি এড্রেসটি কোন দেশে রয়েছে).
তাই, সম্পূর্ণ তথ্য গুলো আপনারা এই ওয়েবসাইট থেকে জেনেনিতে পারবেন।
তৃতীয় প্রক্রিয়া
এই প্রক্রিয়াতে আমরা windows command prompt ব্যবহার করে একটি device এর আইপি এড্রেস কিভাবে বের করতে হয়, সেটা জানবো।
Step ১:
নিজের কম্পিউটার এর “Windows logo” র সামনে থাকা “Search Box” এ “CMD” টাইপ করে সার্চ করতে হবে।
Step ২:
এবার আপনারা command prompt এর একটি icon দেখতে পাবেন।
সেই icon এ গিয়ে, নিজের mouse এ right click করে “run as administrator” অপসনটিতে ক্লিক করুন।
Step ৩:
এখন, আপনার কম্পিউটারে “command prompt” চালু হয়ে যাবে।
Command prompt চালু হওয়ার পর, কম্পিউটারের কীবোর্ড এর ব্যবহার করে “ipconfig” টাইপ করুন এবং তারপর “Enter” টিপুন।
Step ৪:
এখন আপনারা নিজের command prompt dialog box এর ভেতরেই, নিজের কম্পিউটারের “IPV 4” এবং “IPV6” এড্রেস গুলো দেখে নিতে পারবেন।
তাহলে বন্ধুরা, এভাবেই অনেক সহজে নিজের ডিভাইস এর আইপি এড্রেস খুঁজে বের করতে পারবেন।
IP address এর ভার্সন (version)
ইন্টারনেট প্রোটোকল এর বিভিন্ন সংস্করণ গুলোর বিষয়ে আমরা নিচে কথা বলবো।
IP address এর ভার্সন (version) মূলত দুটি রয়েছে।
- IPV4
- IPV6
IPV 4
IPV এর চতুর্থ version হলো “IPV4” যেটাকে প্রথমবারের জন্য বিকশিত করা হয়েছিল, “১৯৮৩” সালে।
IP র এই চতুর্থ ভার্সন ব্যবহার করে একটি network এ সক্রিয় থাকা device গুলোকে খুঁজে বের করা সম্ভব।
https://googleads.g.doubleclick.net/pagead/ads?client=ca-pub-6223367887381523&output=html&h=330&adk=942502580&adf=1242002930&pi=t.aa~a.754523594~i.191~rp.4&w=396&lmt=1672644748&num_ads=1&rafmt=1&armr=3&sem=mc&pwprc=1084719867&ad_type=text_image&format=396×330&url=https%3A%2F%2Fbanglatech.info%2Fip-address-%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%25BF%2F&fwr=1&pra=3&rh=287&rw=344&rpe=1&resp_fmts=3&sfro=1&wgl=1&fa=27&dt=1672653201043&bpp=14&bdt=5275&idt=14&shv=r20221207&mjsv=m202212050101&ptt=9&saldr=aa&abxe=1&cookie=ID%3D6a48c41aba9ee2ca-22098cd50dd900a9%3AT%3D1672208246%3ART%3D1672208246%3AS%3DALNI_MZVteMXN6FwKmHR1g-oyJZs_2xqQQ&gpic=UID%3D00000b98d1ef5559%3AT%3D1672208246%3ART%3D1672650911%3AS%3DALNI_MZd1Oe3rgiKG6RIAXgF_Ahypc0cXg&prev_fmts=0x0%2C396x330%2C396x330%2C396x330%2C396x330%2C396x752%2C317x99%2C396x330&nras=5&correlator=7866250769670&frm=20&pv=1&ga_vid=1234040055.1672208242&ga_sid=1672653198&ga_hid=1329276259&ga_fc=1&u_tz=360&u_his=13&u_h=883&u_w=396&u_ah=883&u_aw=396&u_cd=24&u_sd=2.727&adx=0&ady=9850&biw=396&bih=752&scr_x=0&scr_y=4602&eid=44759876%2C44759927%2C44759837%2C44777508%2C31071219%2C44780792&oid=2&psts=ACgb8tsu4G16cvsRf6KadIb-DKgPNoGHLWobYrjbvitRO4mi0U-tQuSfnvTvhNPhFedzWe7qxKqkRV8a54EsTw&pvsid=3877053268675388&tmod=2126291675&nvt=1&ref=https%3A%2F%2Fwww.google.com%2F&eae=0&fc=1408&brdim=0%2C32%2C0%2C32%2C396%2C0%2C393%2C801%2C396%2C808&vis=1&rsz=%7C%7Cs%7C&abl=NS&fu=128&bc=31&ifi=9&uci=a!9&btvi=5&fsb=1&xpc=8f5lTmCe0c&p=https%3A//banglatech.info&dtd=6870
কিছু “addressing system” এর ব্যবহারের মাধ্যমে এই “IPV4” গুলো কাজ করে।
IPV4 হলো, ৩২ বিট বাইনারি নম্বর।
এই IPV4 এড্রেস গুলো দেখতে কিছু এরকম “192.18.954.1“.
এই আইপির ভার্সনে কেবল সমিতি পরিমানের আইপি এড্রেস থাকতে পারে।
IPV6
ইন্টারনেট প্রোটোকল এর সব থেকে আধুনিক ও নতুন ভার্সন হলো এই IPV6.
IP র এই আধুনিক ভার্সনে, অসংখ্যক আইপি এড্রেস তৈরি হতে পারে।
IPV6 হলো ১২৮ বিট আইপি এড্রেস।
IPV4 এড্রেস এর ক্ষেত্রে কেবল সংখ্যা (numbers) ব্যবহার করা হয়।
তবে, IPV6 হলো “alphanumeric addressing system” যেখানে সংখ্যা এবং ইংরেজি অক্ষরমালা দুটোই ব্যবহার করা হয়।
IP6 ভার্সনটি ১৯৯৫ সালে উপস্থাপিত (introduced) করা হয়েছিল।
IP version 6 দেখতে এরকম হয় “2673:8763:57f:4897:092j:v2fe:8hj9:95jh“.
তাহলে বুঝতে পারলেন তো, IP address এর বিভিন্ন সংস্করণ (version) গুলোর বিষয়ে।
আশা করছি, বুঝেছেন।
IP address এর কাজ কি ?
সহজ এবং সোজা ভাবে এই প্রশ্নের উত্তর আমি দিয়ে দিচ্ছি।
ইন্টারনেট প্রোটোকল এড্রেস (IP address) এর কাজ হলো,
আপনার কম্পিউটার ডিভাইসটিকে, একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সক্রিয় বিভিন্ন অন্যান্য computer device গুলোর সাথে সংযুক্ত হতে সাহায্য করা।
ধরুন, আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন।
এখন, যেকোনো ওয়েবসাইটে যাওয়া মানেই, সেই ওয়েবসাইটের ডাটা ও ফাইল গুলোকে access করার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে, ওয়েবসাইটের server কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত হওয়া।
এক্ষেত্রে, আপনার local computer device টিকে, একটি common network এর মাধ্যমে অন্যান্য computer device গুলোর সাথে সংযুক্ত করতে সাহায্য করে এই IP address.
কারণ, আইপি এড্রেস এর মাধ্যমেই, কমন নেটওয়ার্কে সক্রিয় থাকা একটি কম্পিউটার ডিভাইস আরেকটি কম্পিউটার ডিভাইসকে খুঁজে পেতে পারে।
তাছাড়া, যেকোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা একটি “hardware device” এর ঠিকানা বা এড্রেস খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে এই IP address গুলো সাহায্য করে।
তাই, IP address এর কাজ বলতে, এই দুটি মুখ্য কাজ করে এই ইন্টারনেট প্রোটোকল গুলো।
ইন্টারনেট প্রটোকল (IP) এর প্রকারভেদ
IP address এর প্রকার দুটি।
- Private IP address
- Public IP address
Private IP address
একটি local network এর অন্তর্গত, বিভিন্ন computer device গুলোকে একসাথে সংযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে “private IP address” ব্যবহার করা হয়।
নিজের ব্যক্তিগত home network বা business network এর সাথে সংযুক্ত থাকা device এর IP address টি হলো এই ধরণের private আইপি এড্রেস।
যখন ব্যক্তিগত ভাবে, দুটি বা তার থেকেও অধিক device গুলিকে একটি cable network বা wifi network এর সাথে সংযুক্ত করা হয়, তখন সেই device গুলোর মধ্যে একটি network address তৈরি হয়, যেটাকে বলা হয় “private IP address”.
একটি router বা network address translation (NAT) এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে, সংরক্ষিত করা হয় এই private IP address গুলো।
আপনার ঘরোয়া নেটওয়ার্ক (home network) এর বাইরে থাকা device গুলো, এই “Private IP address” গুলো এক্সেস করতে পারবেনা।
Public IP address
পরিত্যেক ইউসার এর ক্ষেত্রে, এই public IP address আলাদা আলাদা থাকবে।
এই ধরণের আইপি এড্রেস গুলো, আপনার ISP (Internet Service Provider) দ্বারা প্রদান করা হয়।
যদি আপনার একটি home বা business network রয়েছে, তাহলে সেগুলোর ক্ষেত্রেও মুখ্য রূপে এই private address গুলোকেই ব্যবহার করা হয় internet network ব্যবহার করার ক্ষেত্রে।
আশা করছি, ইন্টারনেট প্রোটোকল এর বিভিন্ন প্রকার গুলোর বিষয়ে সঠিক ভাবে বুঝতে পেরেছেন।