আমরা কিন্তু প্রায় প্রত্যেকেই operating system এই নামটা শুনেছি । প্রত্যেকটি কম্পিউটারে বা মোবাইলে অপারেটিং সিস্টেম অতি আবশ্যক। কম্পিউটারে অপারেটিং সিস্টেম না থাকলে সেই কম্পিউটার আমরা ব্যবহার করতে পারি না।
আমাদের কম্পিউটারে যত ধরনের হার্ডওয়ার রয়েছে যত ধরনের সফটওয়্যার রয়েছে অর্থাৎ এক কথায় বলা যেতে পারে কখন কোন হার্ডওয়ার কে বা কখন কোন সফটওয়্যার কে কিভাবে কেন কিসের জন্য run করাতে হবে এই সমস্ত কাজটাই করে থাকে OS বা অপারেটিং সিস্টেম।
তো আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব অপারেটিং সিস্টেম কি/ কাকে বলে এবং এর কাজ কি (operating system ki bangla), অপারেটিং সিস্টেম এর উদাহরণ ইত্যাদি বিষয়। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে OS সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন। চলুন তাহলে জেনে নেই অপারেটিং সিস্টেম বলতে কি বুঝায়।
অপারেটিং সিস্টেম কি? (what is operating system in Bengali)
১৯৫১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল মটর রিসার্চ ল্যাবরেটরি কর্তৃক IBM কর্পোরেশনের জন্য সর্বপ্রথম অপারেটিং সিস্টেম আবিষ্কৃত হয়। এটি তখন মেইনফ্রেম কম্পিউটারে ব্যবহার করা হত।
১৯৭১ সালে মাইক্রোকম্পিউটারের জন্য তৈরি প্রথম অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে CP/M। কম্পিউটার পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অপারেটিং সিস্টেমসমূহ হলো- MS DOS or PC-DOS, WINDOWS 95/98/2000/XP/7, OS/2, UNIX, LINUX, MAC OS, XENIX, WINDOWS NT ইত্যাদি।
অপারেটিং সিস্টেম হল এমন এক ধরনের সফটওয়্যার যা কম্পিউটার হার্ডওয়ার এবং ব্যবহারকারীর মধ্যে ইন্টারফেস (interface) হিসেবে কাজ করে। operating system পুরো কম্পিউটার সিস্টেমকে পরিচালনা করে অর্থাৎ operate করে। এর জন্য অপারেটিং সিস্টেম কি কম্পিউটারের আত্মা বলা হয় ইংরেজিতে soul of the computer system বলা হয়।
অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে? (operating system meaning in Bengali)
অপারেটিং সিস্টেম সংজ্ঞা : যে সিস্টেম সফটওয়্যার (system software) হার্ডওয়ার সফটওয়্যার ব্যবহারকারীর মধ্যে যোগসূত্র তৈরি এবং কম্পিউটারের সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে তাকে অপারেটিং সিস্টেম বলে।
কম্পিউটারকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য যে প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রাম সমষ্টি ব্যবহার করা হয় তাকে অপারেটিং সিস্টেম বলা হয়।
এটি কম্পিউটারের ইনপুট ও আউটপুট হার্ডওয়্যার এবং অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের সাথে সেতুবন্ধ রক্ষা করে ব্যবহারকারীর নির্দেশ অনুযায়ী ডেটা গ্রহণ করে, প্রক্রিয়াকরণ করে এবং প্রক্রিয়াকরণের পর প্রাপ্ত ফলাফল প্রদানে সহায়তা করে।
এককথায় অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সাথে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সংযোগ স্থাপন করে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পাদন করে।
আমেরিকান ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিউটের(American National Standard Institute-ANSI) মতে, ‘যে সফটওয়্যার কম্পিউটার প্রোগ্রামের এক্সিকিউশন নিয়ন্ত্রণ করে এবং শিডিউলিং, ডিবাগিং, ইনপুট/আউটপুট নিয়ন্ত্রণ, অ্যাকাউন্টিং, কম্পাইলেশন, তথ্যাবলি সংরক্ষণ, কার্যক্রম, তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং আনুষঙ্গিক কাজসমূহ করে থাকে তাকে অপারেটিং সিস্টেম বলে।’
(Software which controls the execution of computer programs and which may provide scheduling, debugging, input/output control, accounting, compilation, storage assignment, data management and related services.)
অপারেটিং সিস্টেম এর উদাহরণ
কিছু জনপ্রিয় operating system এর উদাহরণ হল
• Microsoft windows
• Linux
• MacOS
• IOS
• Android ইত্যাদি।
অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য
অপারেটিং সিস্টেম এর বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে আলোচনা করা হলো
• অপারেটিং সিস্টেম বা OS তাহলে একটা সিস্টেম সফটওয়্যার।
• কম্পিউটার সিস্টেমের সমস্ত কাজ কিভাবে পরিচালনা করতে হবে তা অপারেটিং সিস্টেমের প্রোগ্রামে করা থাকে।
• Operating System কম্পিউটার হার্ডওয়ার এবং ব্যবহারকারীর মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করে।
• প্রত্যেকটি কম্পিউটারে প্রথমে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করতে হয় কারণ OS ছাড়া কম্পিউটারে কাজ করা সম্ভব নয়।
• OS কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের resource এবং information কে সুরক্ষা প্রদান করে।
• সমস্ত অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ক চালানোর দায়িত্ব operating system এর।
অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ/ কীভাবে কাজ করে (function of operating system in Bengali)
চলুন অপারেটিং সিস্টেমের কাজ কি এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি।
1. Memory Management
মেমোরি মানেজমেন্ট হল operating system একটি function যা primary memory কে পরিচালনা করে। মেমোরি মানেজমেন্ট প্রতিটি মেমোরির অবস্থান ট্র্যাক করে এবং কোন প্রক্রিয়ার জন্য কত মেমোরি consume হবে তা operating system সিদ্ধান্ত নেই।
2. Process Management
প্রসেসর ম্যানেজমেন্ট হল কম্পিউটারে প্রসেস কি ম্যানেজ করো। যখন কম্পিউটারে আপনি একাধিক কাজ করবেন যেমন ব্রাউজারে আপনি কোন কাজ করছেন এবং সেই সাথে আপনি টাইপিং করার জন্য ওয়ার্ড প্যাডে কাজ করছেন ,গান শোনার জন্য আপনি ভিডিও প্লেয়ার ওপেন করেছেন তো এই এই কাজ গুলো সঠিকভাবে করে প্রসেসর ম্যানেজমেন্ট। কম্পিউটারে কোন কাজের জন্য প্রসেসর কতক্ষণ কাজ করবে এ সমস্ত কাজগুলো করে থেকে OS ।
3.Device Management
আপনার কম্পিউটারে যে external device গুলো আছে যেমন কিবোর্ড, মাউস, স্পিকার, প্রিন্টার এই ডিভাইস গুলোকে ম্যানেজ করার কাজ হল অপারেটিং সিস্টেমের। অর্থাৎ কম্পিউটার সিস্টেমের যতগুলো ইনপুট আউটপুট ডিভাইস রয়েছে তাদের সাথে communication কাজ করে OS ।
4. File Management
কম্পিউটারের হার্ডডিক্স এর যতগুলো ফাইল সেভ রয়েছে , যত ডাটা রয়েছে এছাড়া ফাইল সেভ করা, কপি করা সমস্ত কাজ এই অপারেটিং সিস্টেম থেকে হয়।
5. Security
অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের সুরক্ষা প্রদানের সাহায্য করে। কম্পিউটারের যেকোন ধরণর Virus, Malware , Hacker এর হাত থেকে রক্ষা করে অপারেটিং সিস্টেম। আপনার কম্পিউটারে যদি অটোমেটিক ভাইরাস চলে আসে অপারেটিং সিস্টেম কিন্তু সেটি কি রুখে দেই।
অপারেটিং সিস্টেম কত প্রকার ও কি কি? (Types of operating system in Bengali)
চলুন তাহলে অপারেটিং সিস্টেম এর প্রকারভেদ গুলো বিস্তারিত আলোচনা করি।
অপারেটিং সিস্টেম মূলত একটি পরিপূর্ণ সফটওয়্যার। একে অনেক সময় মাস্টার কন্ট্রোল প্রোগ্রামও বলা হয়। কম্পিউটার পরিচালনার ক্ষেত্রে অপারেটিং সিস্টেমকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা
১. বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম (Text Based Operating System) ও
২. চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম (Graphics Based Operating System )
বর্ণ বা টেক্সটভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম :-
এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেম হলো কমান্ড লাইন ইউজার ইন্টারফেস। ডিস্ক ফরমেটিং থেকে শুরু করে ফাইল ব্যবস্থাপনা এবং অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামের সব কাজ কি বোর্ডের মাধ্যমে কমান্ডের সাহায্যে করতে হয়।
তাই বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে অনেকগুলো কমান্ড মুখস্থ করতে হয়। Linux, Unix. MS-DOS / PC DOS, CP/Mi ইত্যাদি এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেমের উদাহরণ।
বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য
বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো
১. বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম পরিচালনার জন্য Root Prompt বা Command Prompt (C:/>) ব্যবহৃত হয়।
২. ডিস্ক ফরমেটিং থেকে শুরু করে ফাইল ব্যবস্থাপনা, অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম, নতুন ডিভাইস শনাক্তকরণ সকল পর্যায়ের কাজই কমান্ড দিয়ে করতে হয়।
৩. এ ধরনের সিস্টেমের জন্য ব্যবহারকারীকে সকল কাজের কমান্ড মুখস্থ রাখতে হয়।
৪. নতুন কোনো হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার সংযোগ করা হলে কম্পিউটারকে বলে দিতে হয় কোথায় সংযোগ করা হয়েছে।
৫. নেটওয়ার্কিং বা ইন্টারনেটব্যবস্থা কার্যকর নয়। তবে ইউনিক্স বা লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমে নেটওয়ার্কিং বা ইন্টারনেটব্যবস্থা কার্যকর হয়।
৬. অল্প কিছু কমান্ড মুখস্থ করেই কম্পিউটার পরিচালনা করা যায়।
৭. এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেম খুব দ্রুত কাজ করতে পারে।
৮. মাল্টিমিডিয়া সিস্টেম কার্যকর নয়।
৯. এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেমের জন্য কম্পিউটারে কম মেমরির প্রয়োজন হয়।
চিত্রভিত্তিক বা গ্রাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেম :-
গ্রাফিক্সের বা চিত্রের মাধ্যমে কমান্ড প্রয়োগ করে কম্পিউটার পরিচালনা করা গেলে তাকে চিত্রভিত্তিক বা গ্র্যাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেম বলে।
এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেমে ডিস্ক ফরমেটিং থেকে শুরু করে ফাইল ব্যবস্থাপনা এবং অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামের সব কাজ করতে হয় বিভিন্ন প্রকার আইকন এবং পুলডাউন মেন্যু ব্যবহার করে। প্রয়োজনীয় প্রোগ্রামের আইকনের ওপর মাউস দিয়ে ডবল ক্লিক করলে প্রোগ্রামটি চালু হয়। তবে বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের মতো কমান্ড মুখস্থ করতে হয় না।
Windows 95/98/Xp/2000/7, Mac OS ইত্যাদি চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের উদাহরণ।
চিত্রভিত্তিক বা গ্রাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য :-
অপারেটিং সিস্টেমের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো
১. চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে কম্পিউটার চালু করার পর ডেস্কটপে বিভিন্ন প্রোগ্রামের আইকন বা প্রতীক থাকে।
২. বিভিন্ন প্রকার আইকন এবং পুল ডাউন মেন্যু কমান্ড ব্যবহার করে কম্পিউটারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করা হয়।
৩. কমান্ডের জন্য মেন্যু এবং প্রতিটি মেন্যুর আওতায় অনেক পুল ডাউন মেনু কমান্ড থাকে।
৪. মাউসের সাহায্যে Icon এবং পুল ডাউন মেনু কমান্ড কার্যকরী করা যায়।
৫. নতুন কোনো হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার সংযোগ করা হলে কম্পিউটার নিজে থেকে বুঝতে পারে কোথায় সংযোগ করা হয়েছে।
৬. নেটওয়ার্কিং, শেয়ারিং ও ইন্টারনেটব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকর।
৭. এ ধরনের সিস্টেমের জন্য ব্যবহারকারীকে কোনো ধরনের কমান্ড মুখস্থ রাখতে হয় না।
৮. মাল্টিমিডিয়া সিস্টেম কার্যকর।
৯. এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেমের জন্য কম্পিউটারে বেশি মেমরির প্রয়োজন হয়।
এগুলো ছাড়াও অপারেটিং সিস্টেমকে নিম্নোক্তভাবে ভাগ করা যায়।
1. Batch Operating System
এই অপারেটিং সিস্টেমটি বর্তমানে আর ব্যবহার হয় না অনেক আগেই এই OS টি ব্যবহার করা হতো । বিশেষ করে মেইনফ্রেম কম্পিউটার এ এই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হতো। এই operating system গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো ইউজার এবং কম্পিউটারের মধ্যে সরাসরি কোন যোগাযোগ ছিল না।
2. Multiprogramming Operating System
অনেক প্রোগ্রাম যখন একসাথে CPU দ্বারা execute হয় তখন তাকে মাল্টিপ্রোগ্রামিং অপারেটিং সিস্টেম বলে। অর্থাৎ multiprogramming operating system এর কাজ হল একটি কম্পিউটারে একসাথে অনেক প্রোগ্রাম পরিচালনা করা।
3. Multiprocessing Operating system
Multiprocessing নাম শুনে হয়তো আপনারা বুঝতে পারছেন এর মানে কি এর অর্থ হলো অনেকগুলো প্রসেসর। অর্থাৎ একাধিক প্রসেসর ব্যবহার করে কম্পিউটারে কাজ দ্রুত করার জন্য এ ধরনের প্রসেসর গুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এবং এক বা একাধিক central Processing unit (CPU) নাকি কম্পিউটার সিস্টেমে অবস্থান করে।
4. Real Time Operating System
real-time অপারেটিং সিস্টেম খুব অল্প সময়ের মধ্যে ইনপুট গুলোকে Process process প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রক্রিয়াকরণ আবশ্যক না হলে এই সিস্টেম ব্যর্থ হবে। রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম এর উদাহরণ হল Airline traffic control systems, Network multimedia system, Robot ইত্যাদি।
5. Distributed Operating System
যে অপারেটিং সিস্টেম একাধিক কম্পিউটার সিস্টেমের মধ্যে Communication অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণ করা হয় তাকে ডিস্ট্রিবিউটেড অপারেটিং সিস্টেম বলে। এক বা একাধিক কম্পিউটার সিস্টেমের মধ্যে একটি টি অপারেটিং সিস্টেম কাজ করে এবং তাদের মধ্যে communities করে। কম খরচে এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।
6. Time Sharing Operating System
Time Sharing মানে হচ্ছে টাইম শেয়ার করা। তো এই ধরণের অপারেটিং সিস্টেমের কাজ হল CPU প্রত্যেক ব্যবহারকারীকে টাইম নির্ধারণ করা।
অপারেটিং সিস্টেমের সুবিধা :-
১. অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারকে সচল ও ব্যবহারপোযোগী করে তোলে।
২. প্রসেসর পরিচালনা ম্যানেজমেন্ট করে।
৩. মেমরি পরিচালনা করে, অর্থাৎ প্রধান মেমরিতে ডেটা, প্রোগ্রাম নিয়ে আসে এবং কার্যকরী করে।
৪. ইনপুট/আউটপুট যন্ত্রগুলো পরিচালনা করে, অর্থাৎ প্রিন্টার, ফ্লপি ডিস্ক, হার্ডডিস্ক, মাউস, কি-বোর্ড, মনিটর প্রভৃতির নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় সাধন করে।
৫. ফাইল পরিচালনা করে, অর্থাৎ মেমরিতে রক্ষিত বিভিন্ন ফাইল এক ডিভাইস হতে অন্য ডিভাইসে পাঠাতে এবং পরিবর্তন করতে সাহায্য করে।
৬. অপারেটিং সিস্টেম নির্ধারণ করে কম্পিউটারের কোন কাজটি আগে কার্যকর হবে ইত্যাদি।
অপারেটিং সিস্টেমের গুরুত্ব
অন্যান্য সফটওয়্যার বা প্রোগ্রামের ন্যায় অপারেটিং সিস্টেমও এক ধরনের সফটওয়্যার। কম্পিউটার সিস্টেম জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে অপারেটিং সিস্টেমের গুরুত্ব রয়েছে।
কম্পিউটার বুটিং করা থেকে শুরু করে কম্পিউটার বন্ধ করা পর্যন্ত সকল কাজই অপারেটিং সিস্টেমের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের ব্যবহার সহজ করে দিয়েছেন। ফলে এখন সাধারণ মানুষের পক্ষেও কম্পিউটার ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেমের কারণেই তা সম্ভব হচ্ছে।
অপারেটিং সিস্টেম হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মধ্যে সেতুবন্ধ রচনা করে। কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ কাজগুলো পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে। হার্ডওয়্যার দিয়ে যাবতীয় কাজ করানোর দায়িত্ব ব্যবহারকারীর পরিবর্তে অপারেটিং সিস্টেম পালন করে।
কম্পিউটারে সব ধরনের সফটওয়্যার থাকলেও অপারেটিং সিস্টেম ব্যতীত এটি কোনো কাজ করে না। কম্পিউটারে সম্পাদিত তথ্যাবলি সংরক্ষণ, ফাইল সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি নির্ণয়, সিস্টেম বণ্টন, তত্ত্বাবধান, ইনপুট ও আউটপুট অপারেশন, প্রোগ্রাম পরিচালনা- সর্বোপরি কম্পিউটারের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পাদনে অপারেটিং সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
তাই কম্পিউটার পরিচালনার জন্য অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যারের প্রয়োজন অনস্বীকার্য।
তো আমরা আজকের আর্টিকেল থেকে জানলাম কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমের মৌলিক ধারণা। বিভিন্ন প্রকার অপারেটিং সিস্টেমের তালিকা তৈরি কর ও OS সম্পর্কে বিস্তারিত খুঁটিনাটি বিষয়।
তো আপনাদের এই আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে পারেন এবং আপনারা কোন ধরনের আর্টিকেল চান সেটা আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন ধন্যবাদ।